মোঃজিল্লুর রহমান চারঘাট,(রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটে ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করেই জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর ভিড় বেড়েছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সীমান্তবর্তী এলাকা চারঘাটে এক সপ্তাহ ধরে বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। দিনে প্রচণ্ড গরম, রাতে ঠান্ডা, আবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে এসব রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা হয় মারুফা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়, কান্নাকাটি করে, খেলাধুলা করছিল না, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে এখানে নিয়ে এলে, চিকিৎসক জানান নিউমোনিয়া হয়েছে। তিন দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে এখানে।’
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল হাকিম বলেন, হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয় তাঁর, এর সঙ্গে পেটব্যথা, শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে এসেছেন তিনি।
চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার মাহমুদা খানম বলেন, রোগীর চাপ এত বেশি যে, চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জ্বর, ডায়রিয়া এবং শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী হওয়ায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে তাদের।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম রবিন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ভর্তি রোগীর পাশাপাশি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে হাসপাতালে ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই জ্বরের রোগী বেড়েছে। এর মূল কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন, হঠাৎ প্রচণ্ড গরম, ঠান্ডা, আবার বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ছোট শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু শিশুর নিউমোনিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। জ্বরের প্রকোপ বেশি, আর ডায়রিয়ার প্রকোপ হঠাৎ গরমের কারণে বেড়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবাগ্রহীতাদের নিরাপদ বা ফুটানো পানি পানের পরামর্শ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি
Leave a Reply